সঙ্গীতশিল্পী মিলার সাবেক স্বামী এস এম পারভেজ সানজারির ওপর এসিড নিক্ষেপের ঘটনার পর একটি অডিও ফাঁস হয়েছে। মিলা ও তার সহকারী জন পিটার হালদার কিমের মধ্যে আলাপচারিতার এ অডিওটি প্রকাশ করে বেসরকারি চ্যানেল ‘সময় টেলিভিশন’। শুক্রবার রাতে টেলিভিশনটির অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে অডিওটি প্রকাশ করা হয়।
প্রথমে কিম ফোন করেন মিলাকে। পরে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে পাল্টা ফোন করেন মিলা। সেখানে তাকে উচ্চাস্বরে কথা বলতে শোনা যায়।
কিমকে মিলা বলেন, এতদিন কই ছিলি। আমার সব কষ্টের মধ্যেও তোকে টাকা দিয়েছি। নিজের সঙ্গে রেখেছি। আমার কাছ থেকে হঠাৎ করে চলে গিয়ে সানজারির বাসায় কি কারণে? আমি কি সাজারির বাসায় যেতে বলেছি? সানজারিকে কি করছিস?
তখন কিম বলেন, ‘এ ধরনের কোনও কাজ করিনি। আমি ভয় পেয়েছিলাম তাই আমি পালিয়েছিলাম।’
অডিওতে আরও শোনা যায়, কিম যেটা করসোছ সেটা আমার জন্য অনেক বড় সমস্যার তৈরি করছোস। আমি তোকে তো কিছুই বলিনি। তোকে পুলিশ সন্দেহ করছে। যেখানেই লুকিয়ে থাক তোকে পুলিশ খুঁজে বের করবে। আর সানজারি এমনিতে জেলে যেত কিন্তু তুই যে কাজটা করেছিস তা আমার জন্য সত্যিই অনেক খারাপ হলো।
পুরো ১১ মিনিট ১০ সেকেন্ডের অডিও ক্লিপটিতে মিলা ও কিমের মধ্যে সানজারির শরীরে এসিড নিক্ষেপ ও অতীতের কিছু বিষয় নিয়ে কথা হয়।
ফোনালাপে কিমকে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পন করতেও নির্দেশ করেন মিলা। এ ছাড়া কোনো টেলিভিশনে গিয়ে মিলা আপু এসব করেনি বলতেও নির্দেশ দেন মিলা।
এদিকে সানজারির শরীরে এসিড নিক্ষেপের যে কথা বলা হচ্ছে, তাতে তার শরীরে যে ধরনের ক্ষত বা দগ্ধ হওয়ার কথা তা পায়নি পুলিশ।
গত ২ জুন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার সময় পারভেজ সাংবাদিকদের জানান, রাত ৮টার দিকে তিনি বাসা থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হন। কিছুক্ষণ যাওয়ার পরই তার সাবেক স্ত্রী মিলার সহকারী জন পিটার হালদার কিম তাকে মোটরসাইকেল থামানোর সংকেত দেন। তিনি মোটরসাইকেল থামানো মাত্র পিটার এসিড ছুড়ে পালিয়ে যান।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের মে মাসে মিলা-পারভেজ বিয়ে করেন। কয়েক মাস না যেতেই তাদের সম্পর্কে ফাটল ধরে। এক পর্যায়ে তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। পারভেজের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাও করেন মিলা। এসব নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এসিড নিক্ষেপের ঘটনায় মিলা জড়িত থাকতে পারেন বলে ধারণা করছেন পারভেজ।